× হোম দেশির খবর অনুষ্ঠান-কর্মসূচী-উদযাপন দেশের খবর দশদিক দুনিয়া দশকথা ভিডিও সব ছবি ভিডিও আর্কাইভ

কোম্পানীগঞ্জে ৪ জামায়াত-শিবির কর্মী হত্যার অভিযোগে মীর্জা কাদেরসহ শতাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি-

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৩৮ এএম । আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১২ এএম

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৪ জামায়াত-শিবির কর্মী হত্যার অভিযোগে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আলোচিত গডফাদার আব্দুল কাদের মীর্জাসহ১১২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৮নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন।

আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন অভিযোগ তদন্ত করে মামলা হিসেবে (এফআইআর) রেকর্ড করতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেই ঘটনায় নিহত অপর তিনজন হচ্ছেন সাইফুল ইসলাম বাবলু, আব্দুল আজিজ রায়হান ও মতিউর রহমান সজিব। মামলায় কোম্পানীগঞ্জের তৎকালীন ইউএনও  মো. নুরুজ্জামান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলামসহ ১৯ পুলিশকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা রুমেল, মীর্জা কাদেরর ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকনসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদের জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এনিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জামায়াত-শিবিরের ৭ কর্মী। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে যোগ দেয়া আওযামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তখন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন সাজিদুর রহমান সাজেদ আর নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ছিলেন আনিসুর রহমান।

মামলার এজাহারে বাদী আমিরুল ইসলাম উল্লেখ করেন- ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে জামায়াত নেতা  কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগী ও পুলিশ অস্ত্র হাতে মিছিলে হামলা চালায়।  কাদের মির্জা ও ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকনের গুলিতে সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।

এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন মুন্না ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গুলিতে চরহাজারীর আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আবদুল আজিজ রায়হান। সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, কাদের মির্জার ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়েরের গুলিতে চরকাঁকড়ার আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবুল মারা যান।

অন্যদিকে একই সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সফিকুল ইসলাম, এসআই শিশির কুমার, এএসআই উ ক্য সিং মারমার গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান সজিব নিহত হন।

মামলার বাদী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, তিনি এবং তাঁর ভাই সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আমরা ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন তাঁরা। এতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগী ও প্রশাসনের গুলিতে তাঁর ভাইসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘটনার পর আমরা এ হত্যার বিচার চাইলেও আসামিরা ক্ষমতাবান রাজনৈতিক প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো বিচার পায়নি। এমনকি গত ১১ বছর ভুক্তভোগী নিহতদের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরেও থাকতে পারেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


Deshi Khobor

সম্পাদক : মাহমুদুল হাসান (রুদ্র মাসুদ)

ঠিকানাঃ ৮৬-৩২ ১০২ এভিনিউ, ওজন পার্ক, দ্বিতীয় তলা, নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই-১১৪১৬, ইউএসএ

© 2024 Deshi Khobor All Rights Reserved. Developed By Root Soft Bangladesh.