“দেড় কোটি প্রবাসীর হে মুগ্ধ জননী
রেখেছো প্রবাসী করে অধিকার দাও নি”
দেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সিংহভাগের যোগানদাতা প্রবাসীরা। অথচ; একই দেশের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রবাসে থাকার কারণে কেন প্রবাসীরা ভোটাধিকার পাবে না ? কেন রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রবাসীদের অংশগ্রহন থাকবে না?
পৃথিবীর ১৪১টি দেশ তাঁদের দেশের অনাবাসী বা প্রবাসী নাগরিকদের ভোটদানের ব্যবস্থা রেখেছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবে না ? আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান যদি তার প্রবাসে অবস্থান করা নাগরিকদের ভোট প্রদান করে সুযোগ করে দিতে পারে, আমাদের দেশের সমস্যা কোথায়? আমরা কেন পারবোনা ?
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরা পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। খুব জটিল একটি প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়, যা মোটেও প্রবাসীদের জন্য অনুকূল ছিল না। এটি ছিল মূলত শুভঙ্করের ফাঁকি।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন। ধারণা করা হয় এই সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। আমরা যদি দেড় কোটিও ধরি তাহলে ১৬ কোটির বাংলাদেশে তা ৯ শতাংশের ওপরে। সংখ্যাটি কিন্তু অনেক বড়। এই বিপুলসংখ্যক দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিকে জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটদানে বিরত রাখা মহাঅন্যায়।
একজন মানুষ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে তাঁর হৃদয়ে নাগরিকত্বের অধিকারবিষয়ক অনুভূতি দুর্বল হয়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতি, নির্বাচিত সরকারের প্রতি তাঁর অধিকারবোধ কমে যায়। ৯ শতাংশ মানুষ জাতীয় সংসদের ২৭টি আসনের মালিক। অথচ এই বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিকে আমরা ভোটের প্রশ্নে গুরুত্বই দিচ্ছি না! জুলাই বিপ্লবের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল একটা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করা। প্রবাসীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ কেন করা হবে?
রাষ্ট্র মেরামত হচ্ছে সামনে নির্বাচন আসবে প্রবাসে থাকা নাগরিকদের কে নির্বাচনের পূর্বেই ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে এবং জাতীয় নির্বাচনে বিদেশে থাকা দূতাবাস-মিশনের মাধ্যমে ভোট প্রদানের সুযোগ করে দিতে হবে। মহান সংসদে প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখতে হবে। এই যৌক্তিক দাবি পূরণের লক্ষ্যে প্যারিস,লন্ডন, নিউইয়র্ক আসুন একযোগে সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে বাংলাদেশী আছেন সেখানে আওয়াজ তুলি এবং বাংলাদেশ দূতাবাস-মিশন গুলিতে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সরকারের কাছে আমাদের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরি।
-নুর ইসলাম হক
প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স
(বি সি এফ) প্যারিস, ফ্রান্স।
সম্পাদক : মাহমুদুল হাসান (রুদ্র মাসুদ)
ঠিকানাঃ ৮৬-৩২ ১০২ এভিনিউ, ওজন পার্ক, দ্বিতীয় তলা, নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই-১১৪১৬, ইউএসএ
© 2024 Deshi Khobor All Rights Reserved. Developed By Root Soft Bangladesh.